"মরিচ চাষে জৈব সারের ব্যবহার: মাটির স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনুন, ফলন বাড়ান!
"মরিচ চাষে জৈব সারের ব্যবহার: মাটির স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনুন, ফলন বাড়ান!"
জৈব সার কেন মরিচ চাষের জন্য জরুরি?
মরিচ গাছের শিকড় অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত ব্যবহার মাটির pH মান নষ্ট করে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে। জৈব সার মাটির গঠন উন্নত করে, উপকারী অনুজীবের সংখ্যা বাড়ায়, এবং মরিচের ঝাল ও গন্ধ বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, জৈব সার ব্যবহারে মরিচের ফলন ৩০-৪০% পর্যন্ত বাড়ে!
মরিচ চাষে কোন জৈব সার সবচেয়ে কার্যকর?
জৈব সারের ধরন | মরিচ গাছের সুবিধা |
---|---|
গোবর সার | নাইট্রোজেন সরবরাহ করে গাছের পাতার সবুজভাব বাড়ায়। |
ভার্মিকম্পোস্ট | ফসফরাস ও পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে ফুল ও ফল ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। |
হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা | রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতার দাগ রোধ করে। |
মরিচ ক্ষেতে জৈব সার প্রয়োগের সঠিক পদ্ধতি
১. জমি প্রস্তুতির সময়:
প্রতি বিঘা জমিতে ১০-১২ কেজি গোবর সার বা ৫-৭ কেজি ভার্মিকম্পোস্ট মাটির সাথে মিশিয়ে দিন।
মাটির উপরের ৬ ইঞ্চি স্তরে সার ভালোভাবে মিশান।
২. চারা রোপণের ২০ দিন পর:
জৈব তরল সার স্প্রে করুন (১০ লিটার পানিতে ১ কেজি গোবর সার মিশিয়ে ৩ দিন রেখে দিন)।
৩. ফুল আসার সময়:
হাড়ের গুঁড়া সার (Bone Meal) প্রয়োগ করুন – প্রতি গাছে ৫০ গ্রাম হারে।
জৈব সার ব্যবহারের সচরাচর ভুল ও সমাধান
ভুল ১: কাঁচা গোবর সরাসরি প্রয়োগ → সমাধান: গোবর ২ মাস পচিয়ে নিন।
ভুল ২: অতিরিক্ত জৈব সার → সমাধান: প্রতি বিঘায় সর্বোচ্চ ১৫ কেজি সার ব্যবহার করুন।
জৈব সারের মাধ্যমে মরিচের রোগ দমন
অ্যানথ্রাকনোজ রোগ: নিম-লঙ্কা স্প্রে (১০ লিটার পানিতে ২০০ গ্রাম নিম পাতা ও ১০টি লঙ্কা বাটা) + জৈব সার ব্যবহারে রোগের প্রকোপ ৬০% কমে।
শিকড় পচা রোগ: ট্রাইকোডার্মা সমৃদ্ধ জৈব সার প্রয়োগ করুন।
লাভের হিসাব
বিঘা প্রতি খরচ | আয় |
---|---|
জৈব সার: ৳৫০০ | ফলন: ৮০০-১০০০ কেজি |
রাসায়নিক সার: ৳১২০০ | ফলন: ৬০০-৭০০ কেজি |
জৈব সার ব্যবহারে খরচ ৫৮% কম, আয় ৩৫% বেশি!
মরিচ চাষের সম্পূর্ণ গাইডসচরাচর জিজ্ঞাসা (FAQs)
Q: মরিচ গাছে জৈব সার কতদিন পর পর দেবো?
A: চারা রোপণের সময়, ২০ দিন পর, এবং ফুল আসার সময় – মোট ৩ বার।
Q: ভার্মিকম্পোস্ট কি মরিচ গাছের জন্য নিরাপদ?
A: হ্যাঁ, এটি ১০০% প্রাকৃতিক এবং কেমিক্যাল-মুক্ত।